ফাইল ছবি
সাজগোজ অনুসঙ্গ হিসাবে লিপস্টিক খুবই দরকারি। যে মেয়েটি কখনই মেকআপ করেন না সেও কিন্তু কোথাও বেরনোর আগে ঠোঁটে একবার পছন্দের লিপস্টিক লাগিয়ে তবেই বের হোন। তবে বছরের শুরু থেকেই যেভাবে করোনার প্রকোপ ছড়িয়েছে, তাতে লিপস্টিক শেষ কবে লাগিয়েছিলাম, মনে নেই! এই অবস্থা যে শুধুমাত্র আমার একার তা কিন্তু নয়, মোটামুটি অনেক মহিলাই এই সমস্যায় পড়ছেন। আর সবচেয়ে কষ্ট তখন হয় যখন দেখি লিপস্টিকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার অন্যদিকে নিত্য নতুন মেকআপ চ্যালেঞ্জ আর লুক নিয়ে নিরীক্ষাও চলছে। এমনই একটি ট্রেন্ডি মেকআপ লুক হল ব্লারড ঠোঁটের মেকআপ।
আপনি যদি সামাজিক মাধ্যমে বেশ অ্যাকটিভ হন আর সাজগোজের বিষয়ে আগ্রহ থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই এতদিনে দেখেছেন ব্লারড লিপ্স লুক। আর যদি না দেখে থাকেন, তাহলে জেনে নিন এই নতুন মেকআপ ট্রেন্ডি নিয়ে। চারটি ধাপে দেখে নিন কিভাবে করবেন ব্লারড ঠোঁটের মেকআপ লুক।
আসলে ব্লারড লুক (নষঁৎৎবফ ষরঢ়ং সধশবঁঢ়) মেকআপ কোরিয়ান পপ-সিকল লুকের থেকে অনুপ্রাণিত। যখন আপনি পপ-সিকল মানে রঙিন কাঠি আইসক্রিম খান, আপনার ঠোঁটের ভিতরের দিক মানে হাঁ-মুখের অংশ সেই পপ-সিকলের রঙে রাঙিয়ে যায় আর ঠোঁটের বাইরের অংশেও হাল্কা রং লেগে থাকে।
এই লুকটি মেকআপে আনা খুব সহজ। আর তাছাড়া এই মেকআপ লুকটি আনার জন্য আপনাকে বেশি সময় খরচ করতে হবে বা খুব বেশি সরঞ্জামের প্রয়োজন। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে তৈরি করা যায় পারফেক্ট ব্লারড ঠোঁট।
ব্লারড ঠোঁট মেকআপ টিউটোরিয়াল:
১। প্রথমেই ঠোঁটে স্ক্রাব করে নিতে হবে। এতে আপনার ঠোঁট নরম আর প্লাম্পি হয়ে উঠবে আর ব্লারড ঠোঁট মেকআপের জন্য এমন ঠোঁটই প্রয়োজন। একটি ছোট্ট বাটিতে সামান্য কফি পাউডার, চিনি ও কয়েকফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ স্ক্রাব করে নিন এবং উষ্ণ জলে ধুয়ে নিন।
২। এবার লিপস্টিক ও লিপ লাইনার বেছে নিন। লিপ লাইনার কিন্তু কখনওই গাঢ় শেডের বাছবেন না। সম্ভব হলে নুড শেডের লিপ লাইনার দিয়ে আউট লাইন করে নিন এবং নুড লিপস্টিক লাগান। ঠোঁটের একদম ভিতর পর্যন্ত লিপস্টিক লাগানোর দরকার নেই। ঠোঁটের শেপ মেইন্টেন করে বাইরের অংশে নুড লিপস্টিক লাগান।
৩। এবার ঠোঁটের ভিতরের অংশে অর্থাৎ আপনার হা-মুখের দিকে আপনার পছন্দের রঙের লিপস্টিক লাগান। তবে লিপস্টিক লাগানোর সময়ে খেয়াল রাখবেন তা যেন বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়। যেমন হট পিঙ্ক বা ফুশিয়া পিঙ্ক, উজ্জ্বল কমলা অথবা টেম্পল রেড। এবার দুটা ঠোঁট চেপে রেখে আঙুলের সাহায্যে স্মাজ করুন। তবে এই ধাপটি একটু সাবধানে করতে হবে, তা না হলে ঠোঁটের বাইরে লিপস্টিক ছড়িয়ে যেতে পারে।
৪। এবার নিজের ত্বকের সঙ্গে মানানসই কনসিলারের শেড বেছে নিন এবং ঠোঁটের বাইরের অংশে, অর্থাৎ ঠোঁটের আউটলাইনের বাইরে যেখানে লিপস্টিক লেগেছে, সেখানে কনসিলার লাগান। আপনি চাইলে কিউপিড বো অর্থাৎ নাক ও ঠোঁটের ঠিক মাঝের অংশেও অল্প কনসিলার লাগিয়ে স্মাজ করে নিতে পারেন। ট্রান্সপ্যারেন্ট লিপ গ্লাস লাগিয়ে ফেললেই শেষ আপনার ব্লারড ঠোঁট মেকআপটি!
এমএস